মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৭ অপরাহ্ন

কুয়েতে শীতের পিঠা ও বসন্ত উৎসব উদযাপন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪ বার দেখা হয়েছে

কুয়েতে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে শীতের পিঠা ও বসন্ত উৎসব উদযাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েতের পৃষ্ঠপোষকতায় গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় রিগাই পার্কে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

পিঠা উৎসবে কুয়েতে বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারের নারীরা নানা নামের বাহারি নকশার মুখরোচক সব পিঠা নিয়ে হাজির হন। এর মধ্যে ছিল ভাপা পিঠা, নারিকেল দুধ পুলি, গোলাপ ফুল পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই পিঠা, মালপোয়া পিঠা,ফুলঝুরি পিঠা,সেমাই পিঠা,  সন্দেশসহ মজার সব সুস্বাদু ও নজরকাড়া পিঠা। উৎসবে প্রায় ৬০ জন গৃহিণী সর্বোচ্চ ৫০ রকমের বাহারি পিঠা প্রদর্শন করেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী হরেক রকমের বিরিয়ানি, কোরমা, মাংসের রেসেপি তৈরি ও প্রদর্শন করা হয়। এই সময় কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের মিশন ও দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতরা, কুয়েতে বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা পিঠা স্টল ঘুরে দেখেন এবং পছন্দমত বিভিন্ন পিঠা ও খাবারের স্বাদ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশি বাহারি খাবারের স্বাদ ও গুণগত মান প্রশংসা করেন আগত অতিথিরা।

বসন্তের সাজে সেজেছে নারী, পুরুষ বাচ্চারা বিভিন্ন রকমের ড্রেস মিলিয়ে আসেন বন্ধু বান্ধব ও পরিবার মিলে দিনটি ছিল উৎসবমুখর। বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয় এ যেন মরুর বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ। খাওয়া-দাওয়া, গল্প, আড্ডায় মেতেছিল ছোট বড় সকলেই।

কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বাহারি পিঠায় মুগ্ধ হয়ে বলেন, ‘এ যেন এক মরুর বুকে একখণ্ড বাংলাদেশ। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। আর তাই পিঠা বাঙালির জীবন ও লোকজ খাদ্য সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ। বিদেশীদের কাছে আমাদের দেশে ভাল দিক ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি তুলে ধরতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় প্রবাসের মাটিতে এই ধরনের অনুষ্ঠান দেশের সুনাম ও পরিচিত বৃদ্ধি পাবে।’

দয়া করে এই পোষ্টটি আপনার পেজে শেয়ার করুন ...

এ জাতীয় আরো খবর..
All rights reserved © 2023 Jono Songbad | প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত